মানবাধিকার দিবস, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১: লিঙ্গ এবং/অথবা সামাজিক লিঙ্গের কারণে নারীদের হত্যা – আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে এবং সাধারণত দেখা যায় অপরাধীরা বিনা শাস্তিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজ এই মুহূর্তে, বিশ্বব্যাপী, অন্তরঙ্গ সাথি বা পরিবারের সদস্যদের দ্বারা হত্যা হচ্ছেন ১০০ জনের ও বেশি নারী, শুধুমাত্র লিঙ্গের কারনে (ইউ এন ও ডি সি)।
মার্চ মাসে, ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের সারাহ এভারার্ড, একজন অফ-ডিউটি পুলিশ অফিসার দ্বারা ধর্ষণ ও খুন হন। ২৫ শে নভেম্বর, মেক্সিকোতে, নারীদের উপর হিংসা প্রতিবাদে একটি জনবিক্ষোভ চলাকালীন, ১৮ বছর বয়সী মারিসোল কুয়াড্রাসকে গুলি করে হত্যা করা হয়। বেশিরভাগ সময় নারীহত্যা অন্তরালেই ঘটে থাকলে ও, রাষ্ট্র শক্তি এবং পরিবার বহির্ভূত সদস্য দের দ্বারা প্রকাশ্যে নারী হত্যার ঘটনার সংখ্যা ও কিন্তু কম নয়।
কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতেও নারীহত্যা ঘটে থাকে। দেখা যায়, কিছু নারী, তাদের বয়স, জাতি, জাতিসত্তা, বর্ণ, লিঙ্গ পরিচয়, অভিবাসী অবস্থা এবং শারীরিক ক্ষমতার কারনে বাকি নারীদের থেকে অনেক বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন হন।
নারীহত্যার প্রমাণ অনস্বীকার্য এবং দিনদিন এই সমস্যা গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে।কোভিড ১৯ মহামারী চলা কালীন, বিশ্বব্যাপী গার্হস্থ্য হিংসা র বৃদ্ধি আরেক মহামারির জন্ম দিয়েছে, যা এই মুহূর্তে নারীহত্যার প্রধান একটি অন্যতম কারন। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে, প্রতি ১১ মিনিটে একজন মহিলা বা মেয়ে র মৃত্যু হয়েছে তাদের ই পরিবারের সদস্য দের হাতে (ইউ এন ও ডি সি)।যদি নারীহত্যার পরোক্ষ রূপগুলি বিবেচনা করা হয়, দেখা যাবে নারীহত্যার মোট সংখ্যা পরিসংখ্যানের থেকে অনেক গুণ বেশি; উদাহরণ স্বরূপ প্রতি বছর প্রায় ৩০০,০০০ বা প্রতি দুই মিনিটে একাধিক মহিলার প্রসবকালীন মৃত্যু হয়ে থাকে (ইউ এন এফ পি এ), কিন্তু নারীহত্যার চিরাচরিত পরিসংখ্যানে তার অন্তর্ভুক্তি হয়না।
২০১৯ সাল থেকে, গ্লোবাল 16 ডেস ক্যাম্পেইন, ৬ ডিসেম্বর দিন টিকে পালন করে আসছে “ফেমিসাইড রিমেমব্রেন্স ডে” হিসাবে। ৬ ডিসেম্বর, মন্ট্রিল গণহত্যা র দিন, ১৯৯১ সালের এই দিন টি তে কানাডা র মন্ট্রিল শহরে একজন ব্যক্তি, ১৪ জন মহিলা কে হত্যা করেন শুধু মহিলা হবার কারনে। এই ভয়াবহ ঘটনাটি পরে তিন দশকেরও বেশি সময় কেটে গেছে, কিন্তু আজ ও প্রতিনিয়ত নারী ও মেয়েরা, সরকারি ও পারিবারিক উভয় ক্ষেত্রেই প্রাণঘাতী হিংসার শিকার হয়ে চলেছে।
এই সময়ে দাঁড়িয়ে, আমরা, বিশ্বব্যাপী সকল নাগরিক, মানবাধিকার সংস্থা এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের 6 ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক নারীহত্যা বন্ধ করার দিন হিসাবে ঘোষণা করার জন্য জাতিসংঘকে আহ্বান জানাতে আমাদের সাথে যোগ দিতে আমন্ত্রণ করছি। সরকার আইনত নারীহত্যা বন্ধ করতে বাধ্য এবং অনেকেই তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু তবুও তারা ব্যর্থ হচ্ছে। সেই কারনে নারীহত্যা বন্ধ করার জন্য নিবেদিত একটি আন্তর্জাতিক দিবসের মাধ্যমে, আমরা,
- বিশ্বব্যাপী নারীহত্যা বিরুদ্ধে সচেতনতা এবং জনমত সংগঠিত করতে পারি।
- আমাদের দেশের সরকার কে সব ধরনের নারীহত্যা বন্ধ করার জন্য জরুরিভাবে কাজ করার দাবি জানাতে পারি।
- আন্তর্জাতিক স্তরে আমাদের আন্দোলন ও সংগ্রামকে একত্রিত করে নারীহত্যা বিরুদ্ধে সংহতি গড়ে তুলতে পারি।
এই পিটিশনে আপনার একটি স্বাক্ষর, নারীহত্যা বন্ধ করতে এবং নারী/মেয়েদের জীবন বাঁচাতে অবদান রাখতে জাতিসংঘ এবং সরকারগুলিকে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে সদর্থক ভাবে সাহায্য করবে।
এখন ই স্বাক্ষর করুন! একটি স্বাক্ষর একটি জীবনের জন্য ।
জানুয়ারী থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত প্রতি মাসের ৬ তারিখে আপডেট, কার্যকলাপ এবং অ্যাডভোকেসি সঙ্ক্রান্ত কার্যকলাপের জন্য ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম এবং টুইটার– এ @16DaysCampaign এর পাতায় চোখ রাখুন।
ফেমিসাইড সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের ফেমিসাইড অ্যাডভোকেসি গাইড দেখুন আমাদের ওয়েবসাইট এ।
তথ্য এবং প্রেস অনুসন্ধানের জন্য যোগাযোগ করুন:
নিশি শাহ
গ্লোবাল ১৬ দিনের ক্যাম্পেইন প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর
ইমেল: [email protected]
Translated by Barsha, Breakthrough Trust.